ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও রাজাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কাশেদুল হক বাবরের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে আপত্তিকর এ মন্তব্য করায় বাবরকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে একটি ফেস্টুন করেন উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক। ওই ফেস্টুনটি উপজেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবরের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠালে তিনি ফারুককে পাল্টা ম্যাসেজে দেন এদিনে কি মুজিবের খৎনা হয়েছিল।
এ ম্যাসেজটির স্কিনশর্ট ফারুক উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে তাকে অবহিত করেন বলে জানান তিনি। এছাড়াও ম্যাসেজটি স্থানীয় আ.লীগের অনেকের কাছে পাঠান।
বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করে বাবরের দেয়া ম্যাসেজের স্কিনশর্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এনিয়ে উপজেলাজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। ক্ষোভ প্রকাশ করে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলা আ.লীগের পদ থেকে বাবরকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বাবর জানান, এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তার ফেসবুক হ্যাক হয়েছে বলে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে দাগনভূঞা উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন মন্তব্য দুঃখজনক। আ.লীগের উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন মন্তব্য তিনি কি জন্য করেছেন তা আমার বোধগম্য নই।
মামুন আরও বলেন, তিনি এ বিষয়টি ফেনী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী ২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীকে অবহিত করেছেন। তার নির্দেশনানুযায়ী বাবরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা আ.লীগ সভাপতি অ্যাড. হাফিজ আহমেদ বলেন, কাশেদুল হক বাবর দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে কটূক্তিমূলক বক্তব্য করেছে তা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তার এ বক্তব্যের বিষয়ে জেলা আ.লীগ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
টিএইচ